আব্বা তার ধর্মোপদেশে প্রায় শেখাতেন, “অপ্রত্যাশিত পুরনো পাপের জন্য
নিজেকে ক্ষমা কর। কঙ্কাল পৃথিবী, দুশ্চিন্তার ভেতর রেখে তোমায় ধর্মোপদেশ,
নীতিমালার পাঠ শেখাবে। ধূসর স্বর্ণের জন্য প্রতিটি নষ্ট দিন মন্দ স্বর্গরূপের
মতোই”। ইদানিং বাড়িতে গিয়ে, আব্বার এক যুগ শুয়ে থাকা বিছানায় হাত বুলিয়ে
আসি। মাঝে মাঝে শুয়ে থাকি। নিজেকে ক্ষমা করার চেষ্টায় থাকি, তারপর ...
হাসি ... কোন কারনে, কোন উদ্দেশ্য ... কঙ্কাল পৃথিবীর মতই! মুহূর্তের জন্য,
আব্বার দুর্বল হাতগুলো পরাক্রমশালী হয়ে উঠে, হৃদয় মধ্যে তাঁর কবিতা খনন।
আমার শখের বাইসাইকেলটা তখন ঘোরের আকাশে; কখনও জলে, কখনো
চলে...। মৃত্যুর আগে প্রায়ই তিনি মধ্যরাতে মাকে বলতেন দরজা খুলতে।
বলতেন, ‘বড়বাবা এসেছে’। সেই এলাম, কবরে শোয়ালাম। শুধু শেখা হল না,
কীভাবে নিজেকে ক্ষমা করতে হয়!
0 মন্তব্য(গুলি):