ওপেন উইন্ডো
কেমন আছেন?
ওয়াকিং ডিসট্যান্স এর ওপেন উইন্ডোতে আপনাকে স্বাগতম! প্রথমেই জানাতে চাই আমাদের এই আড্ডার বিষয়টাকে চার পর্বে বিভক্ত করা হয়েছে।
প্রথম পর্ব: যে উত্তরতম হেঁটে আসো… এই পর্বে আপনার কাছে জানতে চাইছি আপনার লেখালেখি শুরুর গল্পটা। কখন এবং কীভাবে লেখালেখির জগতে প্রবেশ করলেন? লেখক হবার ইচ্ছাটা কি ছোটোবেলা থেকেই ছিলো?
মাহফুজুর রহমান লিংকন: “ ভালো
আছি, আবার ভালো নেই!” আমার নিজেস্ব একটা ধারনা আগে বলে নেই, আমার মতে (বয়স) ৪০’র আগে কোন কবির ভালো থাকা উচিৎ না। কারণ ৪০’র পর কোন কবিই আসলে নোতুন করে লিখতে পারে না।
৪০’র পর কবি যা লিখে সব
লেখাই, কবির আগের লেখার সংস্করণ এর মতই আমার কাছে মনে হয়। তাই আমার কাছে মনে হয়, (বয়স)৪০’র
আগে কবি বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যদিয়ে চলবে, জীবনের
প্রতিটি মুহুর্ত কে নিয়ে খেলা করবে, ভালো
থাকা– না থাকা নিয়ে কবির ভাবার
সময় কোথায়?
লেখালেখি শুরুর গল্পটা...
প্রথমত আমার স্মৃতিশক্তি দুর্বল, দ্বিতীয়ত আমি ইনিয়ে-বিনিয়ে বানিয়ে বলা পছন্দ করিনা। তাই সত্য গল্পটা এই যে, আমি নিজেও জানিনা লেখালেখি কবে থেকে শুরু করেছি তবে বুঝতে পেরেছি যখন আমি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। এখানে একটি কথা নিঃসঙ্কোচে বলতে পারি- কুড়িগ্রামের মত সাজান- গোছান, নদীর আনাগোনাময়, ছোট্ট শহরটা আমাকে কবিতার মানুষ করে তুলেছে। “কিশোর বয়সে প্রতিটি বাঙালি কবিতা লিখে”- এমন একটা প্রবাদ আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে, আমিও তার বাহিরে নই হয়ত… তবে ১৯৯২ সালের শুরুর দিকেই কবিতা লেখার কাজটা খুব গভীরভাবে আমি উপলব্ধি করি, সেই থেকেই শুরু...
আমার বাবা প্রবাসী ছিলেন, আমি তাঁর প্রথম সন্তান।
তাঁর স্বপ্ন ছিল, আমাকে ডাক্তারি পড়াবেন। আমার আকাঙ্ক্ষা ছিল শুদ্ধ
মানুষ হবার, তাই প্রেম হয়ে গেল কবিতার সাথেই।
প্রথমত আমার স্মৃতিশক্তি দুর্বল, দ্বিতীয়ত আমি ইনিয়ে-বিনিয়ে বানিয়ে বলা পছন্দ করিনা। তাই সত্য গল্পটা এই যে, আমি নিজেও জানিনা লেখালেখি কবে থেকে শুরু করেছি তবে বুঝতে পেরেছি যখন আমি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। এখানে একটি কথা নিঃসঙ্কোচে বলতে পারি- কুড়িগ্রামের মত সাজান- গোছান, নদীর আনাগোনাময়, ছোট্ট শহরটা আমাকে কবিতার মানুষ করে তুলেছে। “কিশোর বয়সে প্রতিটি বাঙালি কবিতা লিখে”- এমন একটা প্রবাদ আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে, আমিও তার বাহিরে নই হয়ত… তবে ১৯৯২ সালের শুরুর দিকেই কবিতা লেখার কাজটা খুব গভীরভাবে আমি উপলব্ধি করি, সেই থেকেই শুরু...
দ্বিতীয় পর্ব: সমুদ্দুরে চোখ…
ওয়াকিং ডিসট্যান্স: আপনি লিটলম্যাগ ‘বিন্দু’ এর সঙ্গে কাজ করছেন৷ লিটল ম্যাগাজিনের কর্মী হিসাবে দেখতে নিজেকে কেমন লাগে? লেখালেখির শুরু থেকেই কি এমনটা ভাবতেন যে লিটল ম্যাগাজিনই আপনার সাহিত্য চর্চার জায়গা?
মাহফুজুর রহমান লিংকন: ভারতবর্ষে প্রাচীন সাহিত্যে “শিল্প” শব্দের ব্যুৎপত্তি দ্যাখলে, এর পরিচয় সহজেই অনুমেয়। যেমনঃ
‘শীলসমাধৌ’- নিপাতনে শিল্প- শব্দ নিস্পত্তি হয়েছে। এখানে সমাধির, চিত্তবৃত্তির নিমগ্নতা উল্লেখ করে, নিমগ্নতা সমুদ্ভাবিত কৌশলে উৎপন্ন বস্তু বলে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই ব্যুৎপত্তি হয়ে সহজেই বোঝা যায় যে, সকল শিল্পই কৌশলে উৎপন্ন।
সকল শিল্পের সৃষ্টির রহস্য এক। কিন্তু সকল শিল্পের লক্ষ্য
এক নয়। লক্ষ্যের দিক থেকে শিল্প দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক শ্রেণির শিল্পের মূল
লক্ষ্য– যে কোন উপায়ে অভীষ্ট
সাধন, এটা পণ্যমুখি শিল্প। আর এক শ্রেণির
শিল্পের মুখ্য লক্ষ্য সুন্দরের প্রকাশ, মতান্তরে সত্যের প্রকাশ, এটা সুকুমার শিল্প
নামেই পরিচিত। সুকুমার শিল্প ব্যাতিত কোন শিল্প শিল্প নয়, পণ্যদ্রব্য।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ তাঁর অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে আত্মউপলব্ধি করতে শেখে, ভালো
মন্দের। আমিও সেটার ব্যতিক্রম নই, লেখালেখির শুরুতে আসলে কিছুই ভাবা হয় নি, শুধু
জানতাম লিখতে হবে। শুরুর দিকে স্থানীয় অনেক পত্রিকায় লেখালেখি করেছি, তবে
পরবর্তীতে লিটল ম্যাগাজিনেই আমার নিরাপদ আশ্রয় এটা স্থির করেছি... ওয়াকিং ডিসট্যান্স: ‘বিন্দু’ এর সঙ্গে আপনার যুক্ত হবার গল্পটা জানতে চাই। কীভাবে এবং কখন ‘বিন্দু’ এর সঙ্গে আপনার কাজ শুরু হলো?
মাহফুজুর রহমান লিংকন: বিন্দু মানেই আমার আবেগ। বিন্দু মানেই আমাকে পুনর্জীবিত করার মন্ত্র। কারণ যদি বলতে যাই, অনেক কাহিনী, অনেক অপ্রিয় সত্যকে বলতে হবে তাই কারণ না জেনে শুধু এতটুকু জানতে পারেন-
২০০২’এ আমি কুড়িগ্রাম ছেড়ে চলে যাই। মাঝে প্রবাসীও ছিলাম...। ২০১২ সালে আমি দেশে ফিরে এসে কুড়িগ্রামে যাই।
একদিন সন্ধায় সাম্য এসে বলল- ভাই, আমরা প্রতিদিন এক পাতার একটা কবিতার পত্রিকা বের করছি, আপনার একটা লেখা দেন। আমি অনেক পুরনো একটা পত্রিকা (আমার সম্পাদনায়) ওঁকে দিয়ে বললাম, এখান থেকে যেটা ভালো লাগে নিয়ে নে। সেই থেকে শুরু...
জীবিকার প্রয়োজনে ঢাকাতে চলে আসি, কিন্তু সাম্য আর বিন্দু আমার পথ চলার পাথেয় হয়ে রইল। বিন্দু’র সাথে মিশে গেলাম বিন্দু। মজার বিষয় হল, বিন্দুতে দীর্ঘদিন আমার একটি লেখাও প্রকাশ হয় নি, আমি দুই হাতে লিখে যাচ্ছি, সাম্য’র সাথে লেখা নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছি। কিন্তু সাম্যকে কখনোই বলার সাহস পাচ্ছি না যে “সাম্য, আমার লেখা কি দেয়া যাবে বিন্দুতে?”
যারা বিন্দু সম্পর্কে বলেন, বিন্দুতে শুধু তাদের লেখাই ছাপা হয়, যাদের সঙ্গে সাম্য, সবুজের সম্পর্ক ভালো। তাদের উদ্দ্যেশে অতি বিনয়ের সাথে বেয়াদবের মতো বলতে চাই, ভাইজানেরা! আমার লিংকনের লেখাও ছাপা হয় নাই বিন্দুতে ততক্ষন, যতক্ষণ না বিন্দুর সম্পাদনা পরিষদ (সম্পাদনা পরিষদ না বলে বলা যায় বিন্দু পরিবার) মনে করেছে, ‘এগুলো কবিতা’।
ওয়াকিং ডিসট্যান্স: কাজ করার ক্ষেত্রে কখনও কি কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে? এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছেন কীভাবে?
মাহফুজুর রহমান লিংকন: দেখুন, আমি আমার ভিতরে একটি মতাদর্শকে লালন করি। সেটা হল-
শিল্পী তাঁর সমস্ত শক্তি দিয়ে তাঁর শিল্প মাধ্যমে সমস্ত অসত্যকে, অসুন্দরকে, অমঙ্গলকে দূর করে দিবে, তবেই তাঁর শিল্পের সার্থকতা। শিল্পের যুদ্ধ অসত্যের বিরুদ্ধে, অসুন্দরের বিপরীতে। সমগ্র পৃথিবীতে (আমাদের দেশও এর বাহিরে নয়) অসত্য, অসুন্দর, অমঙ্গলে পরিপূর্ণ এখানে একজন শিল্পীকে পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ, রাষ্ট্রযন্ত্র সকলের কাছেই সত্যের, সুন্দরের মঙ্গলময়তার বার্তা পৌঁছে দিতে হয়, কাজেই শিল্পীকে প্রতিকূল পরিস্থিতির ভিতর দিয়েই চলতে হয়। আমিও এর বাহিরে নই। ব্যক্তিগত আক্রমণ বহুবার সহ্য করতে হয়েছে, প্রতিনিয়ত করে চলেছি, রাজনৈতিক ভাবেও আক্রান্ত হয়েছি...
আমার একটা কবিতাংশ বলি-
খুব সাদামাটা ভাষায় যদি বলি, যার যত বেশি সহন ক্ষমতা থাকবে, ভিতরে তাঁর দহন ততই বেড়ে চলবে, সেই দহনে গতি আসতে বাধ্য।
খুব সাদামাটা ভাষায় যদি বলি, যার যত বেশি সহন ক্ষমতা থাকবে, ভিতরে তাঁর দহন ততই বেড়ে চলবে, সেই দহনে গতি আসতে বাধ্য।
সব ক্ষেত্রে আমি নিজেও আবার এই
প্রক্রিয়ায় ভিতর দিয়ে যে যাই, তা নয়। কখনো প্রতিবাদ করেছি, কখনো সয়ে নিয়ে নিয়েছি।
তবে প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে সবচেয়ে যে প্রক্রিয়া বেশি অবলম্বন করেছি, তা হল-
“গ্রুপ ওয়ার্ক”। অর্থাৎ সম্মিলিতভাবে আলোচনার মাধ্যমে সৃষ্টিতে সত্য সুন্দরের জন্ম
দিয়ে প্রতিবাদ করে।
আপনার
বাচন ভঙ্গিতে যদি বিনয়ী ভাব থাকে তাতে আমি সমস্যা দেখিনা, কিন্তু সেখানে বিনয়ের
সাথে দৃপ্ততা থাকতে হবে, অর্থাৎ তুমি তোমার অসুন্দরে যেমন অনড়, আমিও বিনয়ের সাথে
আমার সুন্দরের প্রতি অনড়। শুধু মনে রাখতে
হবে, সত্য সুন্দরের জয় অনিবার্য। ওয়াকিং ডিসট্যান্স: অনেকে লিটল ম্যাগাজিনের সাথে ব্লগজিন বা ওয়েব ম্যাগাজিনের বিরোধীতা আছে বলে মনে করে। এ বিষয়টা নিয়ে আপনার নিজস্ব মতামত কী?
মাহফুজুর রহমান লিংকন: আমাদের সমাজে দুই জাতের নৃত্যশিল্পী আছে, এক জাত বুঝে- শুনে নৃত্য করে আর এক জাত না বুঝে- না শুনে নৃত্য করে। যাঁরা বুঝে- শুনে নৃত্যের কলা কৌশল জেনে নৃত্য করে তাঁদের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করা যায়। অন্যদিকে আবালদেরকে পরিতাজ্য করাটাই শ্রেয়!
ঘুরে ফিরে এক জায়গাতেই আসতে হচ্ছে, আপনার মূল কাজ শিল্পের মুক্তি, সুন্দরের জন্ম দেয়া। আপনি কোন পথে সেটা করবেন এটা মুখ্য নয়।
আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি- লিটল ম্যাগাজিন হোক আর ব্লগজিন বা ওয়েব ম্যাগাজিন হোক, এগুলো শিল্পের মুক্তি দেয়ার, সুন্দরের জন্ম দেয়ার এক একটি হাতিয়ার। সে হাতিয়ার যদি মিথ্যার বিরুদ্ধে, অসুন্দরের বিপরীতে যুদ্ধ করে সুন্দরের জাতক হয়, তাকে নমস্য।
ওয়াকিং ডিসট্যান্স: লেখকদের জন্য সিন্ডিকেটের বিষয়টাকে কীভাবে দ্যাখেন? একজন লেখকের জন্য আদৌ কি এর কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে?
মাহফুজুর রহমান লিংকন: একটু হেসে নেই (হা- হা- হা...), এবার বলি- আমি দলাদলি- গলাগলি একেবারে পছন্দ করিনা। কাজেই

মজার বিষয় হল, এই সিন্ডিকেটগুলো আমি চেনার বা জানার চেষ্টাও করিনি, করতে চাইও না। তবে, অনেক লেখকদের মাঝে ‘পীর-মুরিদ’ একটা ব্যাপার আমি লক্ষ্য করেছি। এতে ফায়দা আছে বলে আমার মনে হয় না।
যারা এইসব সিন্ডিকেটে আবদ্ধ আছেন তাদের জন্য শুধু এতটুকু
বলতে পারি-
সমস্ত পৃথিবী জ্ঞানের ভাণ্ডার,
যেখান থেকে যা পাবেন, সেটাকে লুটে নিয়ে, আপনার মননে, সৃজন শীলতায়, সৃষ্টিতে ঢেলে
দিয়ে আপনার সৃষ্টিকে তথা আপনার প্রেয়সীকে সাজান। সারা পৃথিবী আপনাকে স্যালুট করবে।
এইসব দলাদলি- গলাগলি আপনাকে সাময়িক তুষ্টি দিতে পারে, কিন্তু তা আপনাকে ধ্বংস করে
দিতে সময় নেবেনা। অতএব, সাধু সাবধান! ওয়াকিং ডিসট্যান্স: লেখকের লেখালেখির জন্য আড্ডা কি কোনো ভূমিকা রাখে?
মাহফুজুর রহমান লিংকন: হ্যাঁ, এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগে বলে নেই, আমি ভীষণরকম আড্ডাবাজ মানুষ। যদি সৃষ্টিশীল কিছু মানুষ একখানে হয়ে, সাধারণ ভাষায় আমরা যাকে আড্ডা বলছি, এই কাজটি করে তাহলে এটা ঐ মানুষগুলোর জন্য অনেক গুরুত্ব বহন করে। কারণ, এসব আড্ডা থেকে যেমন অনেকে চলার পথ খুঁজে পায়, তেমনি অনেকে আবার চির চেনা পথে চলা ছেড়ে দেয়।
ওয়াকিং ডিসট্যান্স: সাহিত্যের ক্ষেত্রে পুরষ্কার দেয়া ও নেয়ার প্রথাটাকে কিভাবে দ্যাখেন? —
মাহফুজুর রহমান লিংকন: এটা দেয়া এবং নেয়ার মননের উপর নির্ভর করে। তবে আমার ব্যাক্তিগত মতামত হল, যেহেতু কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার ফায়দা আদায়ের কৌশল ছাড়া পুরুষ্কার প্রদান করে না, সেহেতু সাহিত্যিকরা যখন এটাকে গ্রহণ করে তখন বুঝে শুনে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও আত্মহত্যা করার মতই!
তৃতীয় পর্ব: ফেসবুক টাইমলাইন
ওয়াকিং ডিসট্যান্স: ফেসবুকে আপনার শর্ট বায়োগ্রাফিতে লিখেছেন, ‘আমি কবিতা যাপন করি’৷ বাক্যটি ব্যাখ্যা করুন৷
মাহফুজুর রহমান লিংকন:
কত কিছু যে এই জীবনে হারিয়েছি, কতজন যে আমাকে পরিত্যাগ করেছে, তার হিসাব দেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আমার দীননাথ বন্ধু সখি কবিতা আমাকে ছেড়ে যায়নি...
কাজেই তাঁকে (কবিতা) ছাড়া যাপিত জীবন কি সম্ভব?(!!!!!)
ওয়াকিং ডিসট্যান্স: “কবি হবার জন্য আসি নাই, জন্মগত ভাবে রক্ত মাংসে আমি কবি...কারো অনুকম্পায় নই...”- এটা আপনার একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস। এই প্রসঙ্গে কিছু বলবেন কি?
মাহফুজুর রহমান লিংকন: অনেকটা ক্ষোভ করেই এ কথা বলেছি। ২০০২ থেকে ২০১২ দীর্ঘ দশ বছর আমি সকল পরিচিত জনদের কাছ থেকে দূরে ছিলাম। এই দশ বছর এর মধ্যে ২ বছর, আমি আমার পরিবার থেকেও বিচ্ছিন্ন ছিলাম। এ ২ বছর আমার বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্নীয়-স্বজন কেউ জানত না যে আমি বেঁচে আছি নাকি মরে গিয়েছি। সেটা অন্য গল্প কিন্তু মূল কথা দীর্ঘ দশ বছর পর ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে এসে আবার যখন আমার সৃষ্টিশীলতাকে বিকশিত করতে চেয়েছি তখন থেকেই শুরু হয়েছে...।
কেউ জানতেও চায়নি আমি কি করেছি এতদিন? আমি কি ভুলে গিয়েছি
আমার সৃষ্টিশীলতাকে? কিন্তু জায়গা দিতে
নারাজ। ধরণ খানা এমন যে- বাপু, আমরাই কোনমতে বেঁচে আছি, তুই আর জ্বালাস না।
এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হয়েছে, হাতিয়ার ছিল আমার
সৃজনশীলতা। আর সহযোদ্ধা ছিল, কবি সাম্য রাইয়ান, কবি সবুজ।
আজো ঐ সব ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চারা যখন দুধ না পেয়ে
কাঁদে তখন আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে। তাই অনেকটা ক্ষোভ আর সাথে তিক্ততা নিয়েই
উপরোক্ত স্ট্যাটাস।
চতুর্থ পর্ব: ঝড়ের নিমন্ত্রণে… (এখানে একটা প্রশ্নের দুটা উত্তর থাকবে, যে কোনো একটা বেছে নিতে হবে)
চতুর্থ পর্ব: ঝড়ের নিমন্ত্রণে… (এখানে একটা প্রশ্নের দুটা উত্তর থাকবে, যে কোনো একটা বেছে নিতে হবে)
প্রশ্ন- প্রিয়
শহর: ঢাকা / কুড়িগ্রাম
- আমার নন্দিনী কুড়িগ্রাম…
প্রশ্ন- কবিতা / প্রবন্ধ
- কবিতা
আমার বেঁচে উঠার, বেঁচে থাকার অবলম্বন…
প্রশ্ন- সিগারেট
/ গাঞ্জা
- একটিও
না
প্রশ্ন- দুধ চা / লাল চা
- ঘরে অবশ্যই সহধর্মিনীর হাতে দুধ চা, বাহিরে লাল চা (
দুটোই চিনি ছাড়া)
প্রশ্ন- প্রিন্ট পত্রিকা/ব্লগজিন
- প্রিন্ট পত্রিকা
ওয়াকিং ডিসট্যান্স: আপনাকে ভালোবাসা এবং ধন্যবাদ। আপনার অনেক ব্যস্ততার মাঝেও ওয়াকিং ডিসট্যান্সকে সময় দিয়েছেন। শুধুমাত্র একটা সাক্ষাৎকারেই আপনার সঙ্গে কথা বলা সম্পূর্ণ হওয়া সম্ভব নয়। এজন্যে নিশ্চয়ই ওয়াকিং ডিসট্যান্স আবারও আপনার সাক্ষাৎকার নিতে আগ্রহী... খুব ভালো থাকুন সবসময়…
মাহফুজুর রহমান লিংকন: আমার পক্ষ থেকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আর অফুরন্ত ভালোবাসা জানবেন। ওয়াকিং ডিসট্যান্স এর জন্য শুভ কামনা। আবারো একদিন কথা হবে নিশ্চয়ই, ভালো থাকবেন নিরন্তর...
0 মন্তব্য(গুলি):